এবার যশোরে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে সর্দার ট্রাভেলস নামে একটি যাত্রীবাহী বাসের সহকারী (হেলপার) খুন হয়েছেন। শনিবার সকালে ওই বাসের ভেতর থেকে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহের পাশে পাওয়া গেছে হত্যার কাজে ব্যবহৃত রক্তমাখা চাকুও। নিহতের নাম মো. বাপ্পি (২৫)। তিনি নড়াইলের লোহাগাড়া উপজেলার ইদ্রিস আলীর ছেলে।
এদিকে বাসটির চালক এনামুল হক জানান, ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে শনিবার রাত তিনটার দিকে যশোর পৌঁছান তারা। এরপর স্থানীয় মনিহার বাসস্ট্যান্ড এলাকার মনির উদ্দিন পাম্প থেকে জ্বালানি নিয়ে পাম্পের কাছেই গাড়ি পার্কিং করে রেখে যান তিনি। হেলপার বাপ্পি থেকে যান বাসটির ভেতরেই। এরপর সকাল আটটার দিকে এসে দেখেন ভেতর থেকে রক্ত বের হচ্ছে। দরজা খুলে ঢুকতেই দেখা যায় বাসের ভেতরে পড়ে আছে বাপ্পির নিথর রক্তাক্ত দেহ। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা মরদেহ উদ্ধার করে।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের কাঁধে এবং পিঠে বেশ কয়েকটি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এরইমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পুলিশ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবে।
এদিকে সর্দার ট্রাভেলসের যশোর কাউন্টার মাস্টার মোহম্মদ রুমি জানান, যাত্রী ওঠানোর জন্য বাসটি সকাল সাড়ে ৭টায় মনিহার কাউন্টারের সামনে এসে দাঁড়ানোর কথা। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও গাড়িটি কাউন্টারের সামনে পার্কিং না করায় চালকসহ অন্যান্যরা গাড়ির কাছে গেলে খুনের বিষয়টি নিশ্চিত হন।
তিনি আরো জানান, দিন দশেক আগে সর্দার ট্রাভেলসে হেলপার হিসেবে যোগদান করেন বাপ্পি। খুনের খবর পেয়ে বাপ্পির বাবা ইদ্রিস আলীসহ স্বজনরা যশোরে এসেছেন। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে মামলা করা হবে।